এই প্রেক্ষাপটে আমরা যা যা শিখলাম!
শিক্ষা–১: বিষয়টি গুরুত্ব দিন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিনঃ আমরা “দেখি না কি হয়, দেখি না কি হয়” করে সফল ভাবে এখন পর্যন্ত সময় পার করে চলেছি। ইনশাল্লাহ আগামী দিনগুলোও এভাবেই পার হয়ে যাবে।
শিক্ষা–২: পরীক্ষাগুলো ব্যাপক ও সাশ্রয়ী করুনঃ আমরা মাত্র একটা জায়গায় পরীক্ষা সীমাবদ্ধ করে জ্ঞানী মানুষের পরিচয় দিয়েছি। কারও উপসর্গ আছে শুনলেই আমরা পরীক্ষা করা থেকে পিছিয়ে গিয়েছি। পরে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দায় আগের অনেক ঘটনার মত অন্যের উপরে চাপিয়ে দিয়ে পার পাওয়া গেছে।
শিক্ষা–৩: শনাক্ত ও পৃথক করুনঃ আমরা শনাক্তকৃত লোকদের পৃথক না করে তাদের এলাকায় এলাকায় পাঠিয়ে দিলাম যাতে তাঁরা দীর্ঘদিনের অদেখা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভালো করে দেখা সাক্ষাত করতে পারেন। ফলটা ভালো হয়েছে। এলাকার অর্থনীতি চাঙা হয়েছে, বিয়ে-শাদী, আড্ডাবাজি বেড়েছে।
শিক্ষা–৪: সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখুনঃ সামাজিক মেলামেশা কমলে সামাজিক বন্ধন ধ্বংস হতে পারে বিধায় আমাদের প্রবাসীরা সামাজিক বন্ধন বাড়াবার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেটা অনেকেই সমালোচনার বিষয় করেছেন, যা অনভিপ্রেত।
শিক্ষা–৫: জনগণকে ভালোভাবে অবহিত করুন এবং পাশে থাকুনঃ জনগণকে বলা হয়েছিল জন্ম বার্ষিকী পালন করতে। কিন্তু হুট করে করোনা চলে আসায় ৭০০ টন আতশবাতি পোড়ানোয় দায় কার যে হবে, সে চিন্তায় শুরু থেকেই সবার গা গুলিয়ে যায়, মাথাও ঠিকভাবে কাজ করে নাই। তাই জনগণকে অবহিত করার জন্য এক আপাকে দায়িত্ব দিয়ে আতশবাজি ও পটকাবাজি এস্তেমালে সবাই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি।
শিক্ষা–৬: ব্যক্তিগত জীবনাচরণেও নজর দিতে হবেঃ ব্যক্তিগত আচরনে আমরা দল্বলে ঘুরতে পছন্দ করি। ঘাড়ের উপরে দশজনের শ্বাসই যদি না পড়ল, তাহলে কিসের জনপ্রিয় নেতা বা নেত্রী হলাম? সেই চিন্তা থেকে জনসমাগম এড়ানো যাচ্ছে না, স্যরি।